সবার প্রিয় শীতল পাটি শিল্পঃ
আনুমানিক আড়াই থেকে তিনশত বৎসর যাবৎ বংশ পরস্পরায় এটি চলে আসছে। এ জীবনানন্দের ঐতিহ্যবাহী রুপসী বাংলায় জন্ম অনেক জ্ঞানী-গুনীর। তাদের স্বপ্নের ঘর সাজানোর প্রধান আসবাব শীতলপাটি। দিনের ক্লান্তি মুছে দেয় একটি সুন্দর পরিপাটি শয়নকক্ষ, আরামদায়ক শষা এনে দেয় সুখ নিন্দ্রা।
পান বরজঃ
আনুমানিক এক থেকে দেড় শ বছরের পুরোনো এতিহ্য মিশে আছে এ পান চাষের সাথে। পান মানে তাম্বুল। যার কথা লেখা আছে মধ্যযুগগের একমাত্র সাহিত্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নাম কাব্যে। এ কাব্যের তাম্বুল খন্ডে তাম্বুলের (পান) কথা বিধৃত হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ রাধার রুপে মুগ্ধ হয়ে বড়াইয়ের মাধ্যমে রাধার কাছে পান পাঠিয়ে দেয়। এ থেকে প্রমান হয় যুগে যুগে পান নারী পুরুষের ভালবাসার সেতু বন্ধন হয়ে আছে। আজও গ্রাম বাংলায় অতিথি আপ্যায়নের একমাত্র সামগ্রী এক চিলতে পান। শুধু তাই নয় বাংলার ঘরে ঘরে উৎসব আনন্দে পানের ডালা সাজানোর প্রতিযোগিতা চলে। একটি পানের খিলকি দিয়ে প্রকাশ করা হয় ভালবাসার অনুভূতি।
গ্রাম বাংলার মৃৎ শিল্পঃ
আমরা জানি স্বল্প মূলধন এবং স্বল্প পরিসরের শিল্প হল কুটির শিল্প যা কুটিরে বসে প্রস্তুত করা যায়। এ কুটির শিল্পের সাথে গ্রাম বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক সমস্য জড়িত। এক সময় এ অঞ্চলের মৃৎ শিল্পের খ্যাতি ছিল কিন্তু আজকাল এ্যালুমিনিয়াম, চীনা মাটি, মেলামাইনএবং বিশেষ করে সিলভারে রান্নার হাড়ি কড়াই প্রচুর উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে । কথিত আছে এ মৃৎ শিল্প প্রায় দুই থেকে আড়াই শত বৎসর পূর্ব থেকে চলে। জানা যায় অতীতে এমন দিন ছিল যখন গ্রামের মানুষ এই মাটির হাড়ি কড়া, সরা,বাসন মালসা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের সমসত উপকরণ মাটির বাবহার করতঃ কিন্তু আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীতে প্রায় সবই নতুন রুপ। নতুন সাজে আবার নতুন ভাবে মানুষের কাছে ফিরে এসেছে। আজ শুধু গ্রাম বাংলার নয় শহরের শিক্ষিত সমাজ ও মাটির জিনিস বাবহার করে। তবে তা বিচিত্ররুপে। এখন মানুষের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিত্য নতুন রুপ দিয়ে মৃৎ শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে। এসব সামগ্রী গুলো মাটির ব্যাংক,রঙ্গীন ঘোড়া, নানা রঙ্গের পুতুল, নানা ধরণের পাখী, সুন্দর ফুলের টবসহ ফুলগাছ ফুলদানী, নৌকা ইতাদি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস